আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের 120 পিপসের দরপতন ঘটেছে। তবে, ইউরোপীয় সেশনের সময় একটি রিভার্সাল দেখা দেয়, যার ফলে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও, এটি স্পষ্ট যে পুরো দিনের মধ্যে পাউন্ড বেশিরভাগ দরপতন পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার একটি উল্লেখযোগ্য দরপতনের পর একটি ক্ষুদ্র কারেকশন দেখা গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাউন্ডের এই দরপতনের জন্য কোন স্থানীয় কারণ ছিল না।
আমরা আগেও একাধিকবার উল্লেখ করেছি, এই পরিস্থিতি তেমন প্রাসঙ্গিক নয়; এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা এমনকি উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন বা ইভেন্ট ছাড়াই মার্কেটের ট্রেডারদের পাউন্ড বিক্রি করতে প্ররোচিত করছে । আজ, যদি যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক হয়, তবে পাউন্ডের মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। তবে, এই পুনরুদ্ধার সম্ভবত সাময়িক হবে। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে দ্রুত চোখ বুলালে বোঝা যাচ্ছে যে এখনও পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। দৈনিক চার্টে, দীর্ঘদিন ধরে একটি কারেকশন হওয়া বাকি রয়েছে, কারণ এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। গতকাল, মূল্য 50.0% ফিবোনাচি লেভেলে পৌঁছেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে আগামী সপ্তাহগুলোতে একটি কারেকশন ঘটতে পারে। তবুও, আজকের দিনে এমন কারেকশন ঘটার জন্য মার্কিন প্রতিবেদনের অত্যন্ত দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হতে হবে। এমনকি যদি আগামী সপ্তাহগুলোতে পাউন্ডের মূল্য 1.2800 লেভেলে উঠে যায় (প্রায় 400 পিপস উপরে), তবুও দৈনিক চার্টে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে।
বৃহস্পতিবার পাউন্ডের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো আদর্শ ছিল না তবে কিছুটা লাভের সুযোগ তৈরি করেছিল। প্রত্যাশিত অনুযায়ী প্রথম সেল সিগন্যালটি লাভজনক ছিল, যেখানে মূল্য 1.2349 লেভেল ব্রেক করে 1.2245 পর্যন্ত নেমে আসে। এরপর, একটি তীক্ষ্ণ রিভার্সাল ঘটে, মূল্য 1.2349 লেভেলের কনসলিডেট হয় এবং শর্ট পজিশন ক্লোজ করার ইঙ্গিত দেয়। এরপরে দুটি অতিরিক্ত বাই সিগন্যাল তৈরি হয়, যা একে অপরের অনুলিপি ছিল, তাই কেবল একটি ট্রেড কার্যকর করা সম্ভব হয়েছিল। সেই ট্রেডও লাভজনক ছিল, কারণ দিনের অবশিষ্ট সময়ে পাউন্ডের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পায়।
ব্রিটিশ পাউন্ডের কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট অত্যন্ত অস্থিতিশীল হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন প্রতিফলিত করে, প্রায়শই একে অপরকে ছেদ করছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, প্রাথমিকভাবে এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যায় এবং পরবর্তীতে ট্রেন্ডলাইনে নেমে যায়, যা এই সপ্তাহে মূল্য অতিক্রম করেছে। ট্রেন্ডলাইনের এই অতিক্রমের বিষয়টি দৃঢ়ভাবে এই ইঙ্গিত দেয় যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপটি 3,700টি বাই কন্ট্রাক্ট এবং 1,400টি সেল কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে। ফলস্বরূপ, এ সপ্তাহে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা 2,300 কন্ট্র্যাক্ট কমেছে।
বর্তমান মৌলিক পরিস্থিতি ব্রিটিশ পাউন্ডের দীর্ঘমেয়াদী ক্রয়কে সমর্থন করে না। বিশ্বব্যাপী পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে। ফলস্বরূপ, নেট পজিশনের হ্রাস পেতে পারে, যা পাউন্ড স্টার্লিং-এর চাহিদা হ্রাস নির্দেশ করে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, এবং সর্বশেষ কারেকটিভ মুভমেন্ট দ্রুত শেষ হয়েছে। মাঝে মাঝে টেকনিক্যাল কারেকশনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়া আমরা পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য আমরা কোনো মৌলিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনও ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি।
১০ জানুয়ারি ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে: 1.2269, 1.2349, 1.2429–1.2445, 1.2516, 1.2605–1.2620, 1.2691–1.2701, 1.2796–1.2816, এবং 1.2863। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.2481) এবং এবং কিজুন-সেন (1.2404) লাইনগুলোও সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত।
যদিও শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ননফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার, গড় মজুরি স্তর, এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রত্যেকটিই বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে বেশিরভাগ ট্রেডার প্রথম দুটি প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেবে। আমরা আশা করছি না যে ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক হবে, তাই মার্কিন ডলারের তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা প্রত্যাশিত নয়। তবে, সবসময়ই প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে মার্কেটে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে পারে, এবং ট্রেডারদের সম্ভাব্য সকল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।