আরও দেখুন
বুধবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যদিও সেগুলোর কোনোটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র জবলেস ক্লেইমস এবং ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ADP-এর প্রতিবেদন মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও, মার্কেটের ট্রেডাররা শ্রমবাজারের পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণত ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করেন। ফলে, ADP থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের প্রভাবে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটি খুব বেশি হবে না। আজ যুক্তরাজ্য বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।
বুধবারের প্রধান ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের ভাষণ এবং FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রকাশনা। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই সময়ে নতুন কোনো মন্তব্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রতিবেদনের প্রয়োজন। FOMC-এর মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রধানত আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বৈঠকের সময় আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির মতামত সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডিসেম্বরে FOMC-এর বেশিরভাগ কর্মকর্তা ২০২৫ সালের জন্য তাদের সুদের হার খুব বেশি না কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই, যদি মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তবে এটি মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করার সম্ভাবনাই বেশি।
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড স্টার্লিং উভয়ের আরও দরপতন দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও উভয় মুদ্রার মূল্যই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের প্রচেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ISM ও JOLTs প্রতিবেদন দ্বারা ছাপিয়ে গেছে। ফলস্বরূপ, আজ নতুন করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন দেখা যেতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।