আরও দেখুন
মঙ্গলবার সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সঙ্গে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমনকি যখন ইউরোর দরপতন হচ্ছে বা স্থিতিশীল রয়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ইউরোর ট্রেড করা হচ্ছে, যেখানে একই সময়ে পাউন্ডের মূল্য দুর্বল কিন্তু ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি প্রায় অভিন্ন থাকা সত্ত্বেও, ব্রিটিশ মুদ্রা ইউরোর তুলনায় আরও শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে, মাঝারি মেয়াদে পাউন্ডের মূল্য স্থিতিশীল থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। প্রযুক্তিগত কারণে কারেকশন হওয়ায় পাউন্ডের মূল্য কিছু সময়ের জন্য বাড়তে পারে, তবে কারেকশন শেষ হওয়ার পরে পতন পুনরায় শুরু হওয়া উচিত। আজ গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী মুভমেন্টের কারণ হতে পারে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমরা দরপতনের প্রত্যাশা করছি এবং কেবল শর্ট পজিশনের উপর ফোকাস করব।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার কার্যত কোনো উল্লেখযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। আমরা 1.2754 লেভেলটি সরিয়ে নিয়েছি, কারণ এই লেভেলে মূল্যের ধারাবাহিক কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এর পরিবর্তে, আমরা 1.2723 এর নতুন লেভেল নির্ধারণ করেছি, যেখানে গত তিন দিনে তিনবার মূল্যের রিবাউন্ড হয়েছে। গত তিন দিন ধরে একটি হরাইজন্টাল চ্যানেলে এই পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। আজ নতুন করে এই পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে, তবে যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিকেলের দিকে প্রকাশিতব্য মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, দুই মাসের দরপতনের পরে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান রয়েছে। মধ্য-মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করছি, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তিগত কারণে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান মুভমেন্ট এটি নির্দেশ করে যে কারেকশনটি সমাপ্তির কাছাকাছি রয়েছে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা পুনরায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করতে পারেন, কারণ মূল্য দুইবার 1.2798 লেভেলের উপরে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো নিম্নমুখী মুভমেন্ট সম্ভবত 1.2723–1.2791 চ্যানেলের মধ্যে সীমিত থাকবে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993।
বুধবার যুক্তরাজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট এবং ফেডের বৈঠকের প্রভাবে সৃষ্ট মুভমেন্টগুলোর তুলনায় এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আরও শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি হতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।