আরও দেখুন
শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছিল। উল্লেখযোগ্য যে ইউরোর বিপরীতে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের স্থবির বা ফ্ল্যাট থাকার প্রবণতা নয়, বরং একটি স্পষ্ট ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদিও এই মুভমেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকতে পারে না। গত সপ্তাহে, পাউন্ডের মূল্য পুরোপুরি জল্পনামূলক উদ্দীপনার ওপর ভিত্তি করে বেড়েছে, কারণ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের পক্ষে কাজ করেছে। তবুও, পাউন্ডের অব্যাহত দর বৃদ্ধির ফলে একটি প্রযুক্তিগত কারেকশনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অন্যান্য কারেকশনের মতো, এই কারেকশনও শেষ হবে এবং প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হবে। তাই, আমরা এখনও এই পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি। শুক্রবার 1.2798 লেভেল থেকে মূল্যের তীব্র রিবাউন্ড কারেকশনের সমাপ্তির সংকেত দিতে পারে। নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল, মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন আরও শক্তিশালী ছিল এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে প্রকাশিত কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচকের ফলাফলও পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক ছিল। কেবল দেশটির বেকারত্বের হার প্রত্যাশার চেয়ে নেতিবাচক ছিল—তিনটি ইতিবাচক ফলাফলের বিপরীতে একটি নেতিবাচক ফলাফল শেষ পর্যন্ত ডলারকে সমর্থন করছে। আমরা আশা করি সোমবার ডলারের মূল্য আরও বাড়বে।
শুক্রবারের ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনে 1.2754 লেভেলের কাছাকাছি দুটি সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যা এই পেয়ার সুযোগ প্রদান করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন প্রকাশের পরে 1.2791–1.2798 এরিয়ায় কিছুটা অস্পষ্ট রিবাউন্ড দেখা যায়, তবে এটি কার্যকর করা হয়নি। দিনের শেষে, 1.2754 লেভেলের কাছাকাছি আরও দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেগুলো সন্ধ্যার শেষের দিকে গঠিত হওয়ায় এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কেউ যদি এই সেল পজিশনগুলো হোল্ড করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তবে সেগুলো সোমবার পর্যন্ত হোল্ড করে রাখা যেতে পারে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, দুই মাসের দরপতনের পরে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে। মধ্য-মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করছি, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তিগত মুভমেন্ট বলে মনে হচ্ছে, তবে এটি এখন সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
সোমবার, নতুন ট্রেডাররা পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করতে পারে, কারণ শুক্রবার তিনটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ডলারের পক্ষে কাজ করছে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993। সোমবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বর্তমান প্রযুক্তিগত পরিস্থিতির প্রভাবে আজ ডলারের মূল্য বাড়তে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।