empty
 
 
19.09.2024 08:06 AM
১৯ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের পর্যালোচনা

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সম্ভবত ট্রেডাররা উপেক্ষা করবে। মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে ইতোমধ্যেই প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যার ফলে তারা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেবে এমন সম্ভাবনা কম। দিনের প্রথমার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই ফেডারেল রিজার্ভের গতকালের বৈঠকের সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, ট্রেডারদের দৃষ্টি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে সরে যাবে।

মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। দুপুরের দিকে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হারের সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। এখানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। গতকাল যেমন ফেডের সুদের হার কমানোর বিষয়ে ট্রেডাররা 100% নিশ্চিত ছিল, তেমনি আজও ট্রেডাররা হার সমানভাবে নিশ্চিত যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে শুধুমাত্র সুদের হারের সিদ্ধান্তই নেয়া হবে না। মুদ্রানীতি কমিটির কতজন সদস্য সুদের হার কমাতে সমর্থন দিচ্ছেন তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ (পূর্বাভাস অনুযায়ী দুইজন সদস্য সুদের হার কমানোর পক্ষে ভোট দিতে পারেন)। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির অবস্থান বোঝা এবং মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনীতির হালনাগাদকৃত পূর্বাভাস পর্যালোচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ হবে। অতএব, শুধুমাত্র সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তই আজকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক নয়।

উপসংহার:

বৃহস্পতিবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। প্রথমত, ইউরোপীয় সেশনে ট্রেডাররা ফেডের সিদ্ধান্তের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অতএব, আজ আরেকটি ঝড় হতে পারে। সন্ধ্যার মধ্যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কোথায় যেতে পারে তার ভবিষ্যদ্বাণী ভুল কাজ হবে, কারণ মৌলিক পটভূমি খুবই শক্তিশালী। ডলার গতকাল থেকে শুরু হওয়া দরপতন এড়াতে পারে কিনা সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি ডলারের দরপতন রোধ করা যায় তাহলে সম্ভাব্যভাবে এটির দর বৃদ্ধির আশা করা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.