আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। গতকাল, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে দ্বিতীয়বারের মতো মূল সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও ট্রেডারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ইসিবির মুদ্রানীতি নমনীয় হয়েছে, তবুও সুদের হার হ্রাসের বিষয়টি ইউরোর উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করার কথা। তবে মূল সুদের হার কমানোর পরে ইউরো দর বৃদ্ধি দেখে আমরা অবাক হয়েছি। যাইহোক, এতদিনে এমন পরিস্থিতির সাথে ট্রেডারদের অভ্যস্ত হওয়া উচিত। একই দৃশ্যপট অনুসরণ করে 2024 সালের সমস্ত মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে: যে কোনও প্রতিবেদনের প্রভাবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পায় তবে মাঝে মাঝে কারেকশনের জন্য এতে বিরতি নেয়। সম্প্রতি, আমরা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কারেকশন দেখেছি, এবং এটা মনে হতে পারে যে এই ভিত্তিহীন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন ছিল না—ইসিবি সুদের হার কমিয়ে দিলেও ইউরোর মূল্য আবার বাড়ছে।আপাতত এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের নিচে রয়ে গেছে, কিন্তু এই ধরনের মার্কেট সেন্টিমেন্টের মধ্যে মূল্য বেশিদিন সেখানে থাকবে না।
বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশন জুড়ে এই পেয়ারের মূল্য স্থির ছিল কিন্তু 1.1011 লেভেল থেকে দুবার বাউন্স হয়েছে। এই সিগন্যালগুলো কাজে লাগিয়ে লং পজিশন ওপেন করা যেত। পরবর্তীকালে, মূল্য 1.1048 এর লেভেলে পৌঁছেছে, যেখানে টেক প্রফিট সেট করা উচিত ছিল কারণ ইউরোর আরও দর বৃদ্ধির আশা করার কোন কারণ ছিল না। তা সত্ত্বেও, 1.1091 এর লেভেল পর্যন্ত এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো EUR/USD পেয়ারের মূল্য়ের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি করার সুযোগ রয়েছে যা সমস্ত কারণ এবং বিশ্লেষণের সাথে যৌক্তিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। দুর্ভাগ্যবশত, নিম্নমুখী কারেকশনের পরে পুনরায় অযৌক্তিকভাবে ডলার বিক্রি করা শুরু হতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে মার্কেটে কতক্ষণ ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রভাবের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ অব্যাহত থাকবে। ইসিবির আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের দিকে কোন মনোযোগ না দিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের ভবিষ্যত সুদের হার হ্রাসের ভিত্তিতে ডলারের দরপতন অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1091 লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই লেভেল থেকে একটি বাউন্স এই পেয়ার বিক্রির সুযোগ দেবে, যখন দর বৃদ্ধি পেলে বাই সিগন্যাল পাওয়া যাবে।
5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0838–1.0856, 1.0888–1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1191, and 1.1275–1.1292। শুক্রবারের জন্য, ইউরোজোন শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান ইউনিভার্সিটি থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা অনুভূতি সূচক প্রকাশ করা হবে। এই দুটি প্রতিবেদনকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় এগুলির প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।