আরও দেখুন
বুধবারের খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে আজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূল বিষয় হল যে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে যুক্তরাজ্য বা ইউরোজোনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি আগ্রহী নয়৷ সকল ট্রেডার মার্কিন ডলার এবং ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। অতএব, শুধুমাত্র সেই প্রতিবেদনগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা সরাসরি ফেডের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। আজ, এমন একটি প্রতিবেদন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদন সম্পর্কে ইতোমধ্যে অনেক কিছু বলা হয়েছে।এটি ছাড়াও, যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে এটি প্রান্তিক ভিত্তিক প্রতিবেদন নয় যা কিছুটা গুরুত্ব বহন করে, এটি শুধুমাত্র মাসিক এবং তিন মাসের জিডিপি প্রতিবেদন। যুক্তরাজ্যে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে। ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া দুর্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবারও, বুধবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আগামীকাল ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তারপরে আগামী সপ্তাহে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ সুতরাং, এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে কোনটিরই এখনই মুদ্রানীতির সম্ভাবনার বিষয়ে মন্তব্য করার সম্ভাবনা নেই, কারণ এটি অনুমোদিত নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের "ব্ল্যাকআউট পিরিয়ড" বা মুখে কুলূপ এটে থাকার সময়কাল শুরু হয়েছে, কিন্তু নতুন কোন মন্তব্য না পেলেও মার্কেটের ট্রেডাররা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছে যে তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কী আশা করা যায়।
বুধবার, উভয় কারেন্সি পেয়ার উভয় দিকে ট্রেড করতে পারে, কারণ সার্বিক পরিস্থিতি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল এবং প্রায় ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে পূর্বাভাসের তুলনায় দুর্বল ফলাফল দেখা গেলে ডলারের দরপতনের আশা করা যায়।
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।