empty
 
 
11.07.2024 11:41 AM
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১১ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে যেন এমনটাই স্বাভাবিক। দিনের বেশিরভাগ সময় ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের অযৌক্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। গত সপ্তাহে ডলারের দরপতন যৌক্তিক ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে কেন ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে? যাইহোক, আমরা 6 মাস ধরে বারবার বলে আসছি যে পাউন্ডের মূল্য কেন বাড়ছে তা কেউ ব্যাখ্যা করতে পারে না। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড পরবর্তী সভায় সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে এবং যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি 2% এ নেমে যাওয়া সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির মন্থরতার বিবেচনা করছে (যা আসলে ঘটছে না) এবং স্বপ্ন দেখতে থাকে যে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার হ্রাস করবে। শুধু স্বপ্নই নয়, বাস্তবেও তারা এটি বিশ্বাস করে! তাই, পাউন্ডের মূল্য যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ বাড়তে পারে, কারণ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো ভিত্তির প্রয়োজন নেই। গতকাল, ফেডের প্রধান জেরোম পাওয়েল মার্কিন কংগ্রেসের সামনে দ্বিতীয় দফায় ভাষণ প্রদান করেছেন, কিন্তু এটি স্পষ্টতই ডলারের দরপতনকে উস্কে দেয়নি, কারণ এটি যদি হত তবে EUR/USD পেয়ারের মূল্যও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেত।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য 1.2791-1.2798 এরিয়া ভেদ করে, যার পরে পাউন্ডের মূল্য 1.2848-1.2860 এরিয়ায় উঠতে সক্ষম হয়। এইভাবে, যদিও এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অযৌক্তিক ছিল, তবুও এই সিগন্যালটি কাজ করা যেতে পারে, এবং এই ট্রেড থেকে প্রায় 35 পিপস লাভ করা গিয়েছিল। 1.2848-1.2860 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড সেল সিগন্যাল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরির প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হবে না। এই পেয়ারের মূল্য আবার বেড়েছে, এবং সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য অনিয়মিত এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট প্রদর্শন করে চলেছে। বর্তমানে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য সাম্প্রতিক স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেলে ফিরে এসেছে এবং এটির ট্রেডাররা মৌলিক পটভূমিকে উপেক্ষা করে চলেছে।

বৃহস্পতিবার, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য 1.2848-1.2860 এরিয়া থেকে ধীরে ধীরে দরপতন শুরু করতে পারে। তবে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির পতন ঘটলে সেটি ডলারের দরপতনকে উস্কে দিতে পারে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, এবং 1.2980। আজ, যুক্তরাজ্যের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা খুব কমই মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া উস্কে দেবে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে বেশ ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.